ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাংলা?দেশ বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ (এপিজিজি) অন বাংলাদেশ হাউস অব কমন্সে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ইউএন ওএইচসিএইচআর) সঙ্গে বৈঠক করেছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের ওপর দমন-পীড়ন সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানের তথ্য এই বৈঠকে তুলে ধরা হয়। গত মঙ্গলবার রা?তে ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগমের পক্ষ থে?কে পাঠা?নো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এপিজিজি অন বাংলাদেশের চেয়ার আপসানা বেগম এমপি’র সভাপতিত্বে সভায় নীতি নির্ধারক, শিক্ষাবিদ, অ্যাক্টিভিস্টরা উপস্থিত ছিলেন। তারা ইউএন ওএইচসিএইচআর-এর দুই প্রতিনিধির কাছ থেকে প্রত্যক্ষ বিবরণ এবং যাচাইকৃত প্রমাণ শোনেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরা?জ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার আবিদা ইসলাম, এবং পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন অফিসের (এফসিডিও) একজন প্রতিনিধি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমপি আপসানা বেগম জোর দিয়ে বলেন, ইউএন ওএইচসিএইচআর ২০২৪ সালের ব্যাপক বিক্ষোভ চলাকালীন ‘পদ্ধতিগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের যাচাইকৃত প্রমাণ’ পেশ করেছে। তিনি শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনসহ ভয়াবহ অপব্যবহারের একটি বিন্যাস তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, এসব পদক্ষেপ সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দ্বারা সমন্বিত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিক্ষোভ প্রথমে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে শুরু হলেও দ্রুতই তা দেশব্যাপী গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনে পরিণত হয়। ধারণা করা হয় যে, এই সময়ে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারান। আপসানা বেগম জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি নথিবদ্ধ হওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও অত্যাচারের জন্য গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রতি পার্লামেন্ট গ্রুপের পক্ষ থেকে চাপ বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন। আপসানা বেগম বলেন, জাতিসংঘ ওএইচসিএইচআর-এর প্রতিবেদন এবং এর সুপারিশগুলো একটি স্থায়ী বাস্তবতা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জাতিসংঘের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রতিবেদনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জনগণের পক্ষ থেকে জনসেবা খাতে বিনিয়োগ, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, উন্নত কর্মপরিবেশ, নারীর সমতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক পরিবর্তনের জন্য চলমান তৃণমূলের দাবি রয়েছে। এই ব্রিফিং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এবং ভবিষ্যতের প্রশাসনের ওপর আন্তর্জাতিক চাপকে জোরালো করে, যাতে তারা জাতিসংঘের সুপারিশগুলো কার্যকর করে এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে পরিচালিত একটি দেশ নিশ্চিত করতে পারে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
ন্যায়বিচারের দাবিতে বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াবে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট গ্রুপ
- আপলোড সময় : ৩০-১০-২০২৫ ০৭:৩২:৪৯ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ৩০-১০-২০২৫ ০৭:৩২:৪৯ অপরাহ্ন
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
দৈনিক জনতা ডেস্ক :